ফেসবুকে ব্যবসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট

  • মার্কেটিং করতে হবে: এমনিতেই যেকোন ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ একটা পার্ট হচ্ছে মার্কেটিং । অপরদিকে ফেসবুকে ব্যবসা বা এফ-কমার্স মূলত দাড়িয়েই আছে মার্কেটিং এর উপরে । আপনি যদি পেজ খুলে প্রোডাক্ট গুলো শোকেস করে রাখেন ভাল ব্যাপার সেটা । কিন্তু কেউ দেখার চান্স কতটুকু? নর্মালি বিজনেস পেজ ফেসবুক অর্গানিক্যালি রিচ দেয় না । এর কারণটা হচ্ছে এটা হলে তো তাদের লাভ থাকবে না বেশি । তাদের মূল ইনকাম হয় এডের মাধ্যমে । এজন্য তারা চায় আপনি বেশি বেশি খরচ করুন ফেসবুকে । যাইহোক মার্কেটিং করলে আপনার ব্যবসার প্রসার এবং প্রফিট বেড়ে যাওয়ার চান্স বেশি হবে কারণ টার্গেটেড অডিয়েন্সের কাছে অনেক কম খরচেই পৌছিয়ে যেতে পারবেন ।
  • গ্রুপ তৈরী করা: আপনি যে ধরনের প্রোডাক্ট বিক্রি করেন, ওই ধরনের প্রোডাক্টের উপরে একটা জেনারেল পারপাস গ্রুপ তৈরী করতে পারেন । এটার একটা উদাহরণ দিলে ভালভাবে বুঝতে পারবেন । ধরুন আপনি জামাকাপড় বিক্রি করেন । আরো স্পেসিফিক ভাবে বললে, মনে করেন আপনি ছেলেদের জামাকাপড় বিক্রি করছেন । এখন আপনি কি ধরনের গ্রুপ খুলবেন? আপনি কিন্তু আপনার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে একটা গ্রুপ খুলবেন না । কারণ আপনি তো গ্রুপটা খুলছেনই আপনার ব্যবসার প্রসারের জন্য । প্রথমেই তো কেউ সেটাকে চিনবে না । তো গ্রুপ খুলবেন জেনারেল নাম দিয়ে । ধরে নেই এর নাম হবে, “Men Fashion- Community”, “Men Fashion- Discussion” । কিংবা আপনি যদি মেয়েদের কোন প্রোডাক্ট বিক্রি করেন ফ্যাশন রিলেটেড তাহলে নাম দিতে পারেন কথার কথা, “Women Style -Chitchat” এ ধরনের কিছু একটা । এতে কিন্তু আপনার ব্র্যান্ডের নাম হুবহু আসছে না । তাহলে সুবিধাটা কী হবে? তাহলে যারা ফ্যাশন সচেতন, এসব নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী তারা সবাই এসব গ্রুপে একটিভ হবে, সময় দিবে । এতে আপনার ব্যবসার ই উপকার । কারণ গ্রুপতো আপনার । এজন্য ইচ্ছা মত মার্কেটিং করতে পারবেন আর গ্রুপের রিচ পেজের থেকে বেশি হয় । নিজের ব্যবসাকে ব্র্যান্ড হিসেবে খুব সহজে তুলে ধরতে পারবেন ।
  • ডকুমেন্ট রাখা: এই কাজটা আপনাকে আমি অবশ্যই করতে বল্ব । শুরুর দিকে আপনার সেভাবে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দরকার হবে না কিন্তু ব্যবসা বড় হলে এগুলোর প্রয়োজনীয়তা বুঝবেন । ট্রেড লাইসেন্স, বিজনেস ব্যাংক একাউন্ট, ট্যাক্স আইডি (টিন ব্যাসিক্যালি) । এসব ঠিক রাখতে পারলে ব্যবসার গতি অনেক বেশি ত্বরান্বিত হবে । এগুলো কিছুটা ঝামেলা মনে হলেও অনেক অনেক বেশি সুবিধা পাবেন ।
  • রেকর্ড রাখা: আপনাকে কাস্টোমার নিশ্চই ফোন নাম্বার, ঠিকানা ইত্যাদি দিয়ে থাকে? তো আপনি কি সেগুলোর কোন রেকর্ড রাখছেন? আমি বলব এটার রেকর্ড রাখুন । এতে হবে কি আপনি পরবর্তীতে নতুন প্রোডাক্ট নিয়ে আসলে আগের কাস্টোমারকে নক করতে পারবেন ফোন করে হোক কিংবা এসএমএস করে যে আমাদের অমুক প্রোডাক্ট এসেছে ট্রাই করে দেখতে পারেন । এক্ষেত্রে আপনার থেকে যেহেতু তারা একবার কেনাকাটা করেছে এবং আমি আশা করছি তারা আপনার থেকে ভাল সার্ভিস পেয়েছে । তো নতুন প্রোডাক্ট আসলে তাদের চেক করে দেখার অথবা কেনার সম্ভাবনা বেশি থাকবে । পুরাতন কাস্টোমারকে আপনি ডিস্কাউন্ট ও দিতে পারেন । রেকর্ড রাখার জন্য এক্সেল কিংবা গুগল স্প্রেডশীট ব্যবহার করতে পারেন ।
  • নিয়মিত কন্টেন্ট দেওয়া: ফেসবুক কমার্স নিয়ে কথা বলছি । তো অবশ্যই আপনার একটা ফেসবুক পেজ থাকবে । আপনাকে নিয়মিত কন্টেন্ট আপলোড করতে হবে । কারণ আপনি ব্র্যান্ড হিসেবে গ্রো করছেন । রেগুলার কন্টেন্ট না দিলে কেউ সেভাবে পেজের ব্যাপারে আগ্রহী হবে না । এজন্য বিভিন্ন রকমের রিলেটেড কথা বলতে হবে । অর্থাৎ সারাক্ষন যদি প্রোডাক্ট নিয়ে পোস্ট করেন তাহলে কাস্টোমার আপনার ব্র্যান্ডের উপর থেকে ধৈর্য হারাবে । এজন্য বিভিন্ন রকমের উপকারী পোস্ট দিতে পারেন । তাহলে কাস্টোমার এংগেজড থাকবে ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This will close in 0 seconds

Scroll to Top