Power of taking action now!
উপরের ইংরেজি বাক্যটি উক্তির মত শোনা গেলেও এটা সেরকম কিছু নয় । সাধারন একটি বাক্য । কিন্তু এটার মধ্যে অনেক বড় অর্থ লুকিয়ে আছে । বলছি ধীরে ধীরে ।
দেখুন আমরা সবাই কিন্তু জীবনে উন্নতি করতে চাই, ভাল কাজ করতে চাই, বিশেষ কিছু করতে চাই । সর্বোপরি পরিবর্তন আনতে চাই নিজেদের মধ্যে । এটা নিঃসন্দেহে ভাল ব্যাপার । কিন্তু আপনাকে এটা অবশ্যই বুঝতে হবে যে নিজেদেরকে অনন্য উচ্চতায় নিতে চাইলে সেই অনুপাতে কাজ করতে হবে । নিজের জীবনের বড় লক্ষ্যগুলো ঠিক করতে হবে । সেই অনুযায়ি একশন নেওয়াও শুরু করে দিতে হবে । মূল বিপত্তিটা এখানেই বাঁধে । সব ঠিক আছে লক্ষ্য নিশ্চিত, কিন্তু একশন আর নেওয়া হয় না । কেন যেন আলসেমী করতে করতে একেবারেই কাজ আর শুরু করা হয় না ।
আপনারা খেয়াল করে দেখেছেন কি না জানি না । বললে হয়তো মাথায় আসবে । নিশ্চই এরকম ঘটেছে, কোন একটা কাজ করা দরকার হোক বড় কাজ বা ছোট করতে তো হবে । এখন একটু পরে শুরু করি, আজকে সন্ধ্যা থেকে শুরু করি, একেবারে কাল থেকে শুরু করি এইরকম মনের ভেতর অজুহাত চলতেই থাকে । কিন্তু কাজটা আর সময়মত করাই হয় না । শেষ পর্যন্ত তড়িঘড়ি করে কাজ করতে হয় । এটাকে বলা হয় procrastination I ফলাফলও তখন আর Top Notch হয় না । এজন্য সিদ্ধান্ত নিতে হয় আগামী ২৫ মিনিটে এই কাজটুকু করব। তাহলে এই চক্র ঘুরপাক খেতে পারে না।
এলন মাস্ককে তো চেনেন? (চেনার কথা । যার অনেক টাকা তাকে বেশিরভাগই চেনে 😛 ) তার একটা উক্তি দিচ্ছি-
“Stop being patient and start asking yourself, how do I accomplish my 10-year plan in 6 months? You’ll probably fail, but you’ll be a lot further along than the person who simply accepted it was going to take 10 years!”
-Elon Musk
আজই শুরু করুন এবং নিজেকে বদলে ফেলুন ৬ মাসে । এমন না যে ৬ মাসেই করবেন কিন্তু শুরু তো করবেন এখন থেকে । এটা খুব একটা বিশেষ ব্যাপার মনে হয় না কিন্তু ফলাফল ভাল পেলে মনে হবে ।
কাজকর্মের ক্ষেত্রে আপনাকে বেশি ধৈর্যশীল হলে চলবে না । অর্থাৎ যত দ্রুত সম্ভব শুরু করে দিতে হবে । অনেক সময় নিয়ে আস্তে ধীরে কাজ করতে গেলে ১০ বছরের কাজ ১৫ বছরও লাগতে পারে বলা যায় না । যাইহোক যখন আপনি উলটো এখনই শুরু করে আগে আগে কাজ করে বসে থাকবেন এই সিদ্ধান্ত নেন তখন দেখবেন আপনার কাজের গতি তো বাড়ছেই এবং কাজ শুরু করতে পারার ঝামেলা থাকছে না । আর আগেই তো বলেছিলাম শুরু করতে পারাই তো বড় চ্যালেঞ্জ । মাথায় রাখতে হবে যে লক্ষ্য ঠিক করাটাও বাঞ্চনীয় । কেননা আপনি কি কাজ করছেন, কেন করছেন এগুলো না জানলে কাজের কোন অর্থই হয় না ।
এখানে কেউ কেউ বলতে পারেন কিংবা জিজ্ঞাসা করতে পারেন, “এত কাজ কাজ করেন কেন? কি কাজের কথা বলছেন?” ওকে ফাইন । এটাও ক্লিয়ার করি ।
কাজ বলতে আমি বোঝাতে চাচ্ছি আপনার দৈনন্দিন জীবনে নিত্য কাজ, ব্যবসা জীবনের কাজ, চাকরি জীবনের কাজ কিংবা শিক্ষা জীবনের কাজ । ধরুন আপনার কালকে একটা এসাইনমেন্ট আছে, কিন্তু সেটা করতে গেলেন রাত ১ টায় এবং প্রায় সমস্ত রাত জেগে করলেন । এতে হয়তো কোন মতে এসাইনমেন্ট হলো কিন্তু স্বাস্থ্যের যে ১২ টা বাজছে? তাহলে সন্ধ্যা বেলা যদি কিছু না-ই করেন ৫ সেকেন্ড রুল ফলো করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এখনই আগের কাজ আগে করতে বসে যাব । অন্য কিছু পরে করা যাবে । আবার ধরুন আপনি একটা ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন, কিন্তু ৬ মাস ধরেই যদি প্ল্যানিং করেন তাহলে কিভাবে হবে? ব্যবসাটা করবেন কবে? আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে দ্রুত । কী ব্যবসা করবেন, কোথায় করবেন, কাদের কথা মাথায় রেখে করবেন এসব দ্রুত বিশ্লেষণ করে নেমে পড়তে হবে । এরপর সমস্যা হলে কি করবেন এই চিন্তা করার দরকার নেই । মনে রাখবেন, পথে নামলে পথা চেনা হয় । ঘরে বসে অমুক রোড কোন দিকে যায় অমুক রোডের কন্ডিশন কি জানা সম্ভব না । গুগল ম্যাপ ব্যবহার করলে হয়তো ডিরেকশনটা পাবেন শুধু 😛